বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৮:৫৪ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৬ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ বছরেও গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুরোধে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এ বিষয়ে একমত হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভা কক্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির নীতিনির্ধারকদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘সভায় ইউজিসি থেকে নির্দেশনা দিয়েছে গুচ্ছে থাকতে হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ও নির্দেশনা দিয়েছে, যারা আগে গুচ্ছে ছিল তাদের সবাইকেই থাকতে হবে। পরের বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে একটি ভর্তি পরীক্ষা হবে। থাকতে হবে এটা নির্দেশনা, এখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে কী করা যায়।’
তবে শিক্ষক নেতারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে নেওয়া আছে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ভর্তিসহ যাবতীয় একাডেমিক সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে নিতে হয়। এখন নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আবারও একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনও নিশ্চিত নই, ইউজিসির সভায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নাকি অনুরোধ করা হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা গুচ্ছে থাকব না, নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করব। শিক্ষক সমিতিতেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সভায় এ বিষয় আমরা উপস্থাপন করবো, শিক্ষকরা মতামত দেবেন। সবকিছু আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে।’
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত ১৫ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪ তম একাডেমিক কাউন্সিলে (বিশেষ সভা) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য শিগগিরই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিন্ধান্ত হয়েছে। নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠনে গত রবিবার (১৯ মার্চ) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।