প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩২ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩ ১৫:২২ পিএম
এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে সোমবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা। প্রবা ফটো
এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ করছেন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) আয়োজনে সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এ মহাসমাবেশে সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া। সমাবেশটি সঞ্চালনা করছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ।
সমাবেশে বজলুর রহমান
মিয়া বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎস ভাতা,
১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীনে
একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের
কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের
মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বেতন স্কেলের এক ধাপ নিচে দেওয়া হয়। তা ছাড়া
সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায় উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের
বেতন স্কেল সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেলের সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের
মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।’
শিক্ষক নেতা বজলুর রহমান
বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর
অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতেও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক
শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছেন। এ ছাড়া
কয়েক বছর ধরে কোনো প্রকার সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের
বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। অতিরিক্ত ৪ শতাংশ
কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট
অফিস ঘেরাও করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত কোনো
প্রতিকার মেলেনি।’
সমাবেশে আসা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাবপুর জিরতলী উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আজম খান বলেন, ‘২৯ বছর থেকে শিক্ষকতা করছি। আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, শিক্ষা
জাতীয়করণ করা হোক। এতে আমাদের বেতন বাড়বে, অভিভাবকদের খরচ কমবে, শিক্ষার্থীরাও অল্প
বেতনে পড়তে পারবে।’
ফরিদপুর বড়দিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শিউলী বেগম বলেন, ‘আমাদের এমপিওভুক্তি থেকে জাতীয়করণ করে দিলেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌহারিবাড়ী ভাঙাবাড়ী মতিলাল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবশংকর মণ্ডল বলেন, ‘আমি নয় বছর থেকে শিক্ষকতা পেশায় আছি। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি সম্মানের সঙ্গে পূরণ করতে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।’