বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫০ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৯ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিনে তিনটি মানববন্ধন। প্রবা ফটো
প্রক্টরের অপসারণের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। একই দিনে আলাদা ব্যানারে ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ও বিলুপ্ত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধনে অছাত্র, বহিরাগত ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার আহ্বান জানান ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির একাংশের নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, প্রক্টরের অপসারণ এবং অছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবন নিষেধাজ্ঞার দাবি ওঠে।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলেন, ‘এই প্রক্টর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। প্রক্টরের ইন্ধনেই এ রকম ঘটনা ঘটছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সব সময় আশ্বাসের মধ্যে রাখেন। কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেন না।’
মানববন্ধনে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি, এর পেছনে কিছু দাবি আছে। দাবির পেছনে কিছু ঘটনা আছে। গত ছয় সাত মাস ধরে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। একটার পর একটা ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে প্রত্যক্ষভাবে প্রক্টর রানা স্যারের ইন্ধন ছিল। আমরা প্রক্টরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছি না। আমরা বাধ্য হয়ে এ ধরনের কথা বলছি।’
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবি করলেও প্রক্টরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানায়।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ একাডেমিক কাজ পরিচালনার পাশাপাশি গবেষণা করা। হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার অস্থিরতা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর ওপর বহিরাগত যারা হামলা করেছে, তাদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। প্রক্টরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যদি তিনি অপরাধ করে থাকেন তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকেও ব্যবস্থা নেব।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেন প্রক্টরের অপসারণ চাচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি জানি না তারা কেন আমার অপসারণ দাবি করছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের বহিরাগত যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে বারবার বলছি। আমি চাই না আমার শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হোক। প্রক্টর হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তা ছাড়া তারা কেন প্রক্টরকে দায়ী করছে তা জানি না। যারা মারধরের শিকার হয়েছে তারা এখনও প্রক্টর বরাবর বিচারের দাবিতে লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।’