বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:৫০ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকা না থাকা নিয়ে চলমান জটিলতা শেষ হতে চলেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী বুধবার (১৫ মার্চ) বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল আহ্বান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য আগামী বুধবার ৬৪তম একাডেমিক কাউন্সিল (বিশেষ) আহ্বান করা হয়েছে। বেলা আড়াইটায় উপাচার্যের সভাকক্ষে এই বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকা না থাকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুই দফায় বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেও পরে তা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দফায় দফায় স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
প্রথম দফায় ২২ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভার জন্য সেটাও স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় মার্চের শেষের দিকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগ্রহ জানান উপাচার্যরা। সে সময় শিক্ষামন্ত্রী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানালেও তাতে আপত্তি জানায় শিক্ষক সমিতি।
পরবর্তীতে গত ২ মার্চ শিক্ষক সমিতির আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এক জরুরি সাধারণ সভায় সর্বসম্মতভাবে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ভর্তি পদ্ধতি নির্ধারনে বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষকরা। ১২ মার্চের মধ্যেই এই সভা আয়োজনের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে গুচ্ছের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বারবার উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছি, দেখা করে কথা বলেছি। ১৫ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিল আহ্বান করা হয়েছে। গুচ্ছে থাকবো কি থাকব না- সেই সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলেই নেওয়া হবে।'
গুচ্ছে না থাকার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকরা বরাবরই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে। এটা আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্তও নিয়েছি। উপাচার্যকেও জানিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রী ডেকেছিলেন তাকেও আমাদের দাবি জানিয়েছি। এই পদ্ধতিতে যেমন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে, তেমনই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও স্বতন্ত্র অবস্থান হারিয়েছে। তাই আমরা এর মধ্যে থাকতে চাই না।’