বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:২৪ পিএম
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫০ পিএম
ছাত্রী নির্যাতনে জড়িত থাকায় সাময়িক বহিষ্কার পাঁচ শিক্ষার্থী। সংগৃহীত ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে রাতভর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপরেজিস্ট্রার সাহেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ’পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে স্থায়ী বহিষ্কার করা হতে পারে।’
বহিষ্কাররা হলেন, ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা খাতুন ঊর্মি, ইসরাত জাহান মিম এবং মোয়াবিয়া জাহান। গত বুধবার (১ মার্চ) উচ্চ আদালত তাদের সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা জানান, মিটিংয়ে অভিযুক্তদের দোষ ও ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। কেনো তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর মহোদয় ও আইন প্রশাসক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।’
বিকালে শৃঙ্খলা কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে সার্বিক সিদ্ধান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ ও আইন প্রশাসক আনিসুল ইসলাম।
এ ছাড়া হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরীকে পছন্দমতো হলে সিট দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। নির্দেশনা অনুযায়ী, ফুলপরীকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তিনি হল প্রভোস্টের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন।
১২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী খাতুনকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সেদিন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ফুলপরী। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের তদন্তে নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে।