বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ২০:২৩ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ২২:২৫ পিএম
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ফটো
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবেদন জমার পাঁচ দিন পরও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য ছুটিতে থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় রেজিস্ট্রার দপ্তরে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। তারও কয়েক দিন আগে থেকে উপাচার্য ছুটিতে রয়েছেন।
উপ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান বলছেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা পালন করেছি। আগামী শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় শৃঙ্খলা কমিটি মিটিং ডেকেছে। ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাই আমরা চাইলেও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।’
অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস হওয়ার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম ছুটিতে যান। অডিও বিষয়ে জানতে উপাচার্যকে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যায়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে নবীন ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে হলের প্রভোস্টকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। পাঁচ ছাত্রীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পরও পাঁচ ছাত্রীকে এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেনি। উপাচার্য ছাড়া বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন রুটিন-উপাচার্যের দায়িত্ব পালনকারী উপ-উপাচার্য মাহবুবুর রহমান। উপাচার্য আবদুস সালামের ছুটি কবে শেষ হবে তা জানতে পারেনি প্রতিদিনের বাংলাদেশ।