বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৩ ২০:৫২ পিএম
২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন করছেন ঢাবি উপাচার্যসহ অতিথিরা। প্রবা ফটো
আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই অধ্যয়ন করুক না কেন তাদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা সম্পর্কে জানতে হবে।’
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রাণ হারানো বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তৎকালীন ছাত্র নেতারা ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলায় মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষক আজিজুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, দেশের গৌরবময় ইতিহাস ও অজর্ন প্রজন্ম পরম্পরায় বহন করে নিতে হবে। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন করা হয় ও সেইদিন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত হরতাল পালনের নির্দেশ দেন। সেইসময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর কথায় তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ২ মার্চ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমেই বিশ্বকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব জানান দেওয়া হয়েছিল। যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পতাকা উত্তোলন দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম।
আলোচনা পর্ব শেষে সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের গান ও নৃত্য পরিবেশন করে।