বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ২১:০৬ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ২২:০৬ পিএম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল। প্রবা ফটো
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১ মার্চ) ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট থেকে আমাদের কাছে যে নির্দেশ এসেছে তার ওপর ভিত্তি করে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। উপাচার্য মহোদয় এলে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে হাইকোর্টের লিখিত আদেশ এলেই আমরা তা যথাযথ পালন করব। ফুলপরীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তার পূর্ণ নিরাপত্তা ও হলে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’
ফুলপরীর অধিকতর নিরাপত্তা বিধান ও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনা ও কুষ্টিয়ার এসপির কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইবি কর্তৃপক্ষ। বিকালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান এ চিঠি পাঠান।
চিঠিতে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়ের মোবাইল বার্তার আদেশে এ চিঠি পাঠানো হলো।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জানান, পাবনা ও কুষ্টিয়ার এসপির কাছে পৃথক দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর অনুলিপি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতনের ঘটনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামসুল আলমকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে ইবি কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে হলের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক আহসানুল হককে দায়িত্ব পালনের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের কথা জানান ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ।
বহিষ্কার হওয়া নেত্রীরা হলেন ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, হালিমা খাতুন ওরফে ঊর্মি, ইসরাত জাহান ওরফে মিম ও মোয়াবিয়া জাহান।
ছাত্রলীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়— এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার বিচারক জেবিএম হাসান ও বিচারক রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া নির্যাতনের শিকার ফুলপরী খাতুনকে তিন দিনের মধ্যে পছন্দমতো হলে স্থানান্তর ও ভয়ভীতিহীনভাবে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।