সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ২০:০০ পিএম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক। ফাইল ফটো
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শাহপরান হল থেকে নৃবিজ্ঞান এবং সমাজকর্ম বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই হলে থাকার বৈধতা না থাকায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীর হলে থাকা নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। সম্প্রতি শাহপরান হল থেকে এক শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি শাহপরান হলের এক শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় ওই তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম মঞ্জুর রশিদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব এবং বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সফিউজ্জামান ভূঁইয়া।
২২ ফেব্রুয়ারি শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী মো. দেলোয়ার হোসেনকে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় হলের প্রভোস্ট বরাবর একটি অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। পরে ঘটনাটি তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় হল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রাথমিকভাবে তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অধিকতর তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন পিয়াস ও সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। আবাসিক হলে নিষিদ্ধ হওয়া ইফতেখার আহমেদ রানা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
তারা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে জানতে সুমন মিয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘এখনও আমাদের কাছে অফিসিয়াল চিঠি আসেনি।’