ইবির হলে নির্যাতন
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩ ১২:১৪ পিএম
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
পাঁচ শিক্ষার্থী। ছবি কোলাজ
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে সরিয়ে দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ মার্চ) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায় প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কারাদেশ পাওয়া ছাত্রীরা হলেন—ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায় গতকাল মঙ্গলবার বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগীয় তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট, হাউস টিউটরদের দায়িত্বে চরম অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে চরম ব্যর্থ হয়েছেন।’
রিটের পক্ষে শুনানি করেন গাজী মো. মোহসীন। তিনি বলেন, ‘হলের প্রভোস্টের সামনে ওই ঘটনার পরও চুপ ছিলেন। বরং তিনি অভিযুক্তদেরই সহযোগিতা করেছেন। তিনি ভিকটিমকে কোনো সহযোগিতা করেননি। জুডিশিয়ারি রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উদাসীনতার বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। এ বিষয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নির্যাতন করেন। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও এ ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন জমা দেয়।