ইস্ট ওয়েস্টে আলোচনা
প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫৪ পিএম
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধচলাকালে হত্যাযজ্ঞের মতো ঘটনা বসনিয়া ও রুয়ান্ডাতে ঘটেছে। সেসব ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালে হত্যাযজ্ঞের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সদ্য-নির্মিত ‘মঞ্জুর এলাহী’ অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানের অতিথিরা এ দাবি জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এম. শহিদুল হাসান এবং বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাকান্ড ছিল নির্মম ও ভয়াবহ। ৩০ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। ৫-৬ লক্ষ নারীর সম্ভ্রম লুটে নেওয়া হয়েছে। ১ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। কাছাকাছি ধরনের ঘটনা বসনিয়া, রুয়ান্ডাতে ঘটেছে। সেগুলো গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সে তুলনায় অনেক বেশি অপরাধ সংঘটিত হলেও তা এখনও স্বীকৃতি পায়নি। এটিকে গণত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিংসঘের কাছে দাবি রইল।
এই স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আরও বেশি গবেষণা ও লেখালেখির মাধ্যমে সোচ্চার হতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ এবং ‘জনযুদ্ধ৭১’ প্রদর্শিত হয়। এ ছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দলীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।