রাবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম
শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাকির হোসেন। প্রবা ফটো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীকে হুমকি দিয়ে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের উর্দু বিভাগ ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ১৩৫ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী জাকির হোসেনকে হুমকি দেন বলে দাবি করেন ওই শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারির দিকে মোমিন ভাই আমার রুমে আসে। রুমে এসে বলে কে উঠিয়েছে সিটে? এটা কি স্যারের সিট? স্যার ওঠায় কীভাবে? স্যারের এত বড় ক্ষমতা কীভাবে হয়? ২৯ তারিখ নেত্রী আসবে। নেত্রী আসার আগে আমি কোনো ঝামেলা করতে চাই না। তুমি ২৯ তারিখের আগে সিট থেকে নেমে যাবা। নেমে না গেলে আমি অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এরপর তারা আর আসে নাই। গতকাল বিকালে আমার রুমমেট ফোন দিয়ে বলল যে, আজ তারা আসতে পারে। রাতে রুমে এসে দেখি আমার বিছানাপত্র সব মেঝেতে ফেলে দিয়ে অন্য একজনকে আমার বেডে উঠিয়ে দিয়ে গেছে। স্যারকে ফোন দেওয়ার পর স্যার আমাকে এখানেই থাকতে বলে, কিন্তু এখন আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি। কেউ রুমে না আসলেও আমার রুমের সামনে দিয়ে দুই-তিনজন ঘোরাঘুরি করছে।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একই হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী শাখাওয়াত ইসলাম মিরাজ বলেন, ‘গত দুমাস ধরে আমি আমার বৈধ সিটে অবস্থান করছি। কিন্তু গত ২৫ জানুয়ারি জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমার রুমে এসে সিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেন। আমার সিটে আরেকজনকে তুলে দেন। সিট থেকে আমার জিনিসপত্র সরিয়ে দেন। বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোমিন ইসলাম বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কাউকে সিট থেকে নামিয়ে দিইনি। ১৩৫ নম্বর কক্ষে দুজনকে আবাসিকতা দেওয়ার কারণে এমন হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৩৫ নম্বর কক্ষে জোরপূর্বক অবস্থানরত নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
হল প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইকরামুল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি সকালে জানতে পেরেছি। তাদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হল প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপারটা সমাধান করা হবে।’