রাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:০১ পিএম
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলার জায়গা বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহম্মদ। তিনি বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি সুন্দরবন ধ্বংস করে কিংবা জাতীয় কোনো ইস্যুতে কথাই না বলতে পারে তাহলে কীসের উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য ভিসি নিয়োগ ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীনরা আমূল প্রভাব রাখছে। এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরসহ সর্বস্তরের তরুণদের এগিয়ে আসা উচিত।’
পড়াশোনার গুণগত মান নিয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আনু মুহম্মদ বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সর্বজনের বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ভিন্ন চিন্তা থাকতে হবে। অনিয়মগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখনকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায়, শুধু কনস্ট্রাকশনের কাজই বেশি চলে।’
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং রাকসু ও সিনেট কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডাররা কারা এটা আগে বুঝতে হবে। কোনো একটি কাঠামো কিংবা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুযোগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে যদি একজন শিক্ষার্থী কোনো স্বার্থে তার আত্মমর্যাদা হারিয়ে তারই নিজের সহপাঠীকে আঘাত করে, তার চেয়ে লজ্জার কিংবা মেরুদণ্ডহীনতার পরিচয় আর কিছু হতে পারেনা।’
সমাবেশে অবিলম্বে রাকসু ও সিনেট কার্যকরের পাশাপাশি আবাসন সংকট নিরসনে মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের ব্যবস্থা, হলে রাজনৈতিক ব্লকের নামে দখলদারিত্ব নিষিদ্ধ, হলে ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাবারের পুষ্টিগুণ নিশ্চিতকরণ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সপ্তাহে সাত দিন সার্বক্ষণিক খোলা রাখা, যাতায়াতের জন্য রুট বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্তসংখ্যক বাস সংযুক্ত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের অবস্থান ও উন্নত মানের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি নির্মাণ করা, বেনামে আদায়কৃত অযৌক্তিক ফি বাতিল করা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সান্ধ্য আইন ও সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করা, পরিক্ষার উত্তরপত্রে রোল নম্বরের পরিবর্তে মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো কোড সিস্টেম চালু করা, পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি তোলা হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আর রাজী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল ইসলাম মাসউদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।