বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩১ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। প্রবা ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে (কুবি) গবেষণায় সমৃদ্ধ করতে চান বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে নিয়ে আসার পাশাপাশি গবেষণা ও স্কলারশিপের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে কিছু ফ্যাকাল্টি আনার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি বছর অনুষদগুলো থেকে যে জার্নাল বের হবে সেগুলোর এডিটর প্যানেলে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞজনদের আনার ব্যবস্থা করব।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত বছরের ৩১ জানুয়ারি কুবির সপ্তম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী এবং লেখাপড়ায় আগ্রহী করতে সম্প্রতি তিনি ২৩৭ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্কলারশিপ ও ১৭ জন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের মাত্র এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। একইভাবে গবেষণা সেলকে শক্তিশালী করতে আমরা তৈরি হচ্ছি। এর জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন। দক্ষ জনবল তৈরিতেও আমরা কাজ করছি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আইন ভেঙে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ। আমার মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের জন্যে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়ে আসা। যারা যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে, মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারবে তারাই নিয়োগ পাবে। এমন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না; যারা যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। এখানে স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা না থাকলে সে যদি আমার ছেলেও হয় তবুও চাকরি পাবে না। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল এবং নিজেদের স্বার্থ এখন পূরণ করতে পারছে না তারাই এগুলো ছড়াচ্ছে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর গত এক বছরে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও উপাচার্যের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে আলোকপাত করলে এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাকে জননেত্রী শেখ হাসিনা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমি অবশ্যই চাইবো না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাক। আশা করি তারাও (ছাত্রলীগ) এমন কিছু চায় না। এখানে সমস্যা সংগঠনের নয়, সমস্যা কিছু মানুষের। যাদেরকে কিছু পক্ষ ব্যক্তি স্বার্থে পথভ্রষ্ট করেছে।
তিনি বলেন, উপাচার্য হিসেবে যোগাদান করার পর শুরুটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক নতুনত্ব ছিল। গবেষণার জন্য যেসব প্রোগ্রাম দরকার সেসব ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল। শিক্ষকদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করতে কোনো ট্রেনিং, ভালো পাবলিকেশন, অ্যাওয়ার্ড কোনোটারই ব্যবস্থা ছিল না। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমরা একটা ভিশন হাতে নিয়েছি। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই বুঝতে পেরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল তা শিথিল হয়েছে। ফলে সবার কাছে ভিশন গ্রহণের যোগ্যতা বাড়ছে।