প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৩ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৫ পিএম
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী দলটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। প্রবা ফটো
নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য ছাপানো পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনে পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। এটিকে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন তিনি। তাই দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী দলটি।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হল মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী দলটির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি উপস্থাপন করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যাপক অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। এরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করে বলছে, সরকার নাকি পাঠ্যপুস্তক থেকে মহানবী (সঃ) এবং সাহাবীদের জীবনী উঠিয়ে দিয়ে ভিন্ন ধর্মের দেবদেবীর জীবনী অর্ন্তভুক্ত করেছে। এই মিথ্যাচার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অংশ।’
দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছু কথা পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভুক্ত হয়েছিল। আমরাসহ দেশের অন্যান্য ইসলামী দল ও হকপন্থী ওলামা মাশায়েখরা যৌক্তিক ও বিজ্ঞান সম্মত প্রতিবাদ করেছেন। পাঠ্য বইয়ের ভুল সংশোধন ও দোষীদের চিহ্নিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করায় ধন্যবাদ জানাই।’
নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ্যপুস্তকের ভুলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে মিছবাহুর রহমান বলেন, ‘দোষীদের সতর্ক করে বলতে চাই, সরকারের ভিতর ঘাপটি মারা কিছু কুচক্রী আছে, যারা সরকারকে অজনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে নানামুখী চক্রান্তে লিপ্ত। এই মুখোশধারী চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করে সরকারের সব কয়টি বিভাগ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের গতি থামিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সার্বক্ষণিক অপচেষ্টাকারীরা ভিতরের অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেশব্যাপী ফিতনা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরি করেছে।’
ইউরোপ-আমেরিকায় লবিষ্ট নিয়োগ করে মিথ্যাচার করা হচ্ছে মন্তব্য করে মিছবাহুর বলেন, ‘ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখলে নেওয়ার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে দেশে ব্যাপক সংখ্যক উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসী তৈরি করছে।’
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের তিন দফা কর্মসূচি
১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি সমমনা দল ও সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়, ১ মার্চ থেকে ৬ মার্চ সব জেলায় প্রচারপত্র বিলি এবং ১৮ মার্চ ঢাকায় সুধী ও কর্মী সমাবেশ থেকে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশ। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে জানিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসালমী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা রুহুল আমিন খান উজানভী, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জুলকার নাঈম ডালিম, জামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব আল্লামা মনিরুজ্জামান রাব্বানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী, আল্লামা মুফতি আব্দুর রহিম হাজারী, মো. আসাদুজ্জামান খান, দলটির ঢাকা মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন মাহমুদ এবং ইসলামীক ডেমোক্রেটিক এ্যালাইন্স সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খানসহ অনেকে।