চবি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৪৮ এএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২২ এএম
আবারও ক্লাস বর্জন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি-দাওয়ার কিছুই দৃশ্যমান না হওয়ার অভিযোগ তুলে আবারও ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন তাদের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে আবারও ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা।
২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে চার দফা দাবি পূরণে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন।
প্রায় আড়াই মাস পর ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউটের শ্রেণি পাঠদান ও অফিস কার্যক্রম শুরু হয়।
আন্দোলনের বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন চারুকলার শিক্ষার্থী মো. জহির রায়হান।
তিনি বলেন, চার দফার এক দফা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। এর একাংশই তারা পূরণ করে সকালে দুটি ও বিকালে একটি বাস দেয়। বাকি তিন দফার কোনোটিই দৃশ্যমান না হওয়ায় আমরা আবারও আন্দোলনে নেমেছি। ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলার সংকট নিরসন কমিটির সচিব ও চবির সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, আন্দোলনের বিষয়ে তারা আমাকে কিছু জানায়নি। প্রথম দিন থেকেই বিল্ডিং সংস্কারের বিষয়ে কাজ করতে চবির প্রকৌশলী চিফ সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। পরদিন শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী শিক্ষা প্রকৌশলী সংস্কারের মাধ্যমে ওখানে ক্লাস করা সম্ভব বলে মৌখিকভাবে বললেও তারা তা মেনে নেয়নি।
‘স্থানান্তরের বিষয়ে লিখিত চিঠি ডিসি মহোদয়ের দেওয়ার কথা, কাজটাও চলমান রয়েছে। শহর ক্লাবকে মেয়েদের হল করার প্রক্রিয়াও চলমান। কিন্তু বিষয়গুলো সময়সাপেক্ষ। মাঝখানে তো তিন দিন ছুটিই ছিল। ওরা কারও ইন্ধনেই এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে,’ বলেন তিনি।
গত বছরের ২ নভেম্বর চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন সমস্যা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তা ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।