শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:১৮ পিএম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজয় ম্যারাথন-২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিজয় ম্যারাথন ২০২২। বিজয় ম্যারাথনের আয়োজক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিষয়ক সংগঠন কালমেঘ।
১৬ ডিসেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১০৮ জন প্রতিযোগী। ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে কলাভবনের সামনে দিয়ে জয় বাংলা চত্বর হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক জিরো পয়েন্ট গিয়ে আবার ফেরত এসে জয়ধ্বনি মঞ্চের সামনে শেষ হয়। দূরত্ব ছিল ১০.৫ কিলোমিটার।
ছেলে এবং মেয়ে দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয়জন প্রতিযোগী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। ছেলেদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী সারোয়ার আলম, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সিয়াম মল্লিক, তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাসং মৃ।
প্রায় ৪০ জন মেয়ে প্রতিযোগী অংশ নেন ম্যারাথনে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী পাপিয়া চাকমা ওয়াংজা, অন্যান হোড় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তিথি। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যারাথনে নিরাপত্তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ ত্রিশাল থানা।
প্রথমবার বিজয় ম্যারাথন নিয়ে কালমেঘের প্রধান পৃষ্ঠপোষক চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দ্রাবিড় সৈকত বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট না হলে সে কোনোভাবেই তার মেধাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারবে না। কালমেঘের বিজয় ম্যারাথন ২০২২-এর আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল করে তুলতে চাই।’
কালমেঘের কমান্ডার প্রধান রাতুল মুন্সী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই শিক্ষার্থীরা শারীরিক, মানসিকসহ বিভিন্নভাবে হতাশায় আচ্ছন্ন হয়। ইন্টারনেট আসক্তি, রাতজাগা, খাবারে অনিয়মসহ নানা কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। একদিকে পড়াশোনার ক্ষতি হয়, অন্যদিকে অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকেন। আমরা মনে করি একজন মানুষ যদি সঠিক সময়ে রাতে ঘুমাতে যায় খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করে তা হলেই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব।’
ম্যারাথন শেষ করেছেন এমন অংশগ্রহণকারী সব প্রতিযোগীকে মেডেল দেওয়া হয়। ছেলে এবং মেয়ে দুই ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করা প্রতিযোগীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পুরস্কার বিতরণে সনদ, মেডেল ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।