বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫ ২১:৫৯ পিএম
অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম।
নানা অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, ক্লাসে বাজে ইঙ্গিত, কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান, মধ্যরাতে ভিডিও কল, মার্ক টেম্পারিং, বডি শেমিংসহ শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অশ্লীল আচরণ, ক্লাসরুমে পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কলে নানাবিধ আপত্তিকর কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছিল। এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকায় ও সামাজ মাধ্যমে খবর বের হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই তাকে চাকরি থেকে গতকাল শনিবার থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বরখাস্ত থাকাকালীন বিধি মোতাবেক জীবন ধারণ ভাতা পাবেন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ নাজিমুদ্দিন। সদস্য হিসেবে আছেন লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার।
তদন্ত কমিটিকে আগামী ২০ কর্মদিবসের মধ্যে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে উপাচার্যের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চায় শিক্ষার্থীরা। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।