রাবির ফোকলোর বিভাগ
রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:০৮ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৪ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত না আসায় আবারও অনশন কর্মসূচিতে বসেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে তারা অনশন শুরু করেন। এর আগে গত ২২ মে বিভাগের নাম পরিবর্তনসহ তিন দফা দাবিতে একই ধরনের অনশন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, ফোকলোর বিভাগ সংস্কার’, ‘বিভাগ কারও বাপের না, কারও কথায় চলে না’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২২ মে আন্দোলনের মুখে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফোকলোর অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ করার সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কমিটি। কিন্তু এত দিন পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে আজ ডিন কার্যালয়ে সভা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাদের প্রস্তাবিত নাম পাস না করে অন্য একটি নামের সুপারিশ করা হয়েছে। এজন্য তারা আবার অনশনে বসেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার শুভ বলেন, ‘আমরা আগে ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের প্রস্তাবিত নাম এত দিনেও চূড়ান্ত হয়নি। আজ শুনেছি অন্য একটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।’
ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ ডিন অফিসে একটি সভা হয়েছে। সেখানে ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি ৪ নম্বর এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হয়েছে। বেশ কিছু নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। উপাচার্যের নির্দেশে একটি কমিটি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
এর আগে গত ২২ মে ফোকলোর বিভাগের নাম সংস্কারসহ তিন দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অনশন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে ফোকলোর বিভাগের সামনে সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির প্রথমটি হলো- ফোকলোর বিভাগের নাম পরিবর্ধন বা সংস্কার করতে হবে, যাতে বিষয়টির স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। দ্বিতীয় দাবি- পিএসসি ও ইউজিসিতে ফোকলোর বিষয়ের নাম সংযুক্ত করে কোড প্রদান নিশ্চিত করতে বিভাগীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তুতীয় দাবিটি হলো- পরীক্ষার ফলাফল এক মাসের মধ্যে প্রকাশ এবং নির্ধারিত সময়ে ক্লাস রুটিন প্রকাশ করতে হবে।