প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫ ১৫:০৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির (এইচএসপি) সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্য যাচাই বা ভ্যালিডেশন হয়নি, তাদের চলতি অর্থবছরের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার পর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এ বিষয়ে একটি জরুরি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ এবং জানুয়ারি-জুন ২০২৫ কিস্তির উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ আপাতত স্থগিত থাকবে, যদি শিক্ষার্থীর হিসাব নম্বর অভিভাবকের এনআইডি দ্বারা যথাযথভাবে ভ্যালিডেট না হয়ে থাকে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্কিমভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো. আসাদুল হক স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ভ্যালিডেশন না হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধন করে যথাযথ পদ্ধতিতে যাচাই সম্পন্ন করা হলে পরবর্তী সময়ে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
উপবৃত্তি আটকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কী করতে হবে?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিভাবকের এনআইডি তথ্য যথাসময়ে সংশোধন ও ভ্যালিডেশনের উদ্যোগ না নেওয়ায় এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যেন দ্রুত স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট করেন।
শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। এখন অভিভাবকরা যাতে দ্রুত তথ্য যাচাই করে সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।
মূলত, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর লাখ লাখ দরিদ্র ও প্রান্তিক শিক্ষার্থীকে মাসিক উপবৃত্তি এবং টিউশন ফি দেওয়া হয়ে থাকে। এসব অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়। স্বচ্ছতা ও সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর তথ্য যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।