প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ১৬:৩২ পিএম
আপডেট : ১৬ মে ২০২৫ ১৬:৩৪ পিএম
কাকরাইল মোড়ে আজ তৃতীয় দিনের মতো জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। প্রবা ফটো
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ে এই বৈঠকে অংশ নেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন, ড. বেলাল হোসাইনসহ একটি প্রতিনিধি দল।
জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘সকালে সরকারের উচ্চপর্যায়ে সংশ্লিষ্টজন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের মধ্যে একটি বহুপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন ইউজিসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইনের সঙ্গে একটি সমোঝোতা বৈঠক হচ্ছে। আশা করি, ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।’
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আজ তৃতীয় দিনের মতো জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ এবং গণঅনশন কর্মসূচি শুরু হয়। আজকের কর্মসূচিতে জবির সাবেক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও যোগ দিয়েছেন।
কর্মসূচির শুরুতেই জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, ‘ন্যায্য দাবি পূরণে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেলে একচুলও নড়ব না।’
তিনি আও বলেন, ‘দুই রাত আমার সন্তানরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছে। সরকার এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন। তাই তার উচিত, সব সেক্টরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’
‘জগন্নাথ সবসময় অবহেলিত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। এবার আমাদের পূর্ণাঙ্গ দাবি মানতে হবে। দাবি না মানলে কাকরাইল হবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সরকার এখনও বুঝতে পারেনি।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনও এজেন্সি আমাকে তুলে নিয়ে গেলেও যেন আন্দোলন থেমে না যায়।’
শুরুতে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা থেকে বেড়ে দাবি এখন চারটি। সেগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও বাস্তবায়ন, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।