স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ১৩:৪২ পিএম
নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু না করায় ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর ইউজিসি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি। এই তালিকায় ঢাকার ৯টিসহ মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের সই করা একটি চিঠিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। ফলস্বরূপ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউজিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনের আওতায় আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকার মোহাম্মদপুরের দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও ঢাকার বাইরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে- সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ কঠোর মনোভাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে শনিবার খিলগাঁওয়ের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের আংশিক নির্মিত স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন করেছে। ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া এ ক্যাম্পাস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ইউজিসি ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য একটি চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছিল। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় চারটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়, দুটিকে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য আরও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।