প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৫৩ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ছয় দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল রবিবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীদের জোট কারিগরি ছাত্র আন্দোলন। দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে মহাসমাবেশ করা হবে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।
এর আগে দুপুরে কর্মসূচিতে যোগ দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, মহাসমাবেশের লক্ষ্য ছয় দফা দাবির বিষয়টি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মহাসমাবেশ চলাকালে যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা।
সরকার দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।
একই দাবিতে গত বুধবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজার রেলগেটে রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের বৈঠক আছে। সে বৈঠক চলা পর্যন্ত সে কর্মসূচি পরে শিথিল করা হয়।
এদিন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল।
তবে সে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মশালমিছিল করেন তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকাসহ দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে গণমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রি থাকতে হবে; ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের কারিগরি সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে; কারিগরি (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রদের জন্য) সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে; কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষা চালু ও শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির আবেদনের সুযোগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে।