বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪৮ পিএম
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন। প্রবা ফটো
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকী আক্তার ও দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ নম্বর গেটে এ মানববন্ধন হয়। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কর্মসূচি শেষ করেন তারা।
এ সময় তারা ‘ফ্যাসিবাদের দিন শেষ, ইনসাফের বাংলাদেশ’, ‘মবতন্ত্রের দিন শেষ, ইনসাফের বাংলাদেশ’, ‘শাহবাগী না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’- ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মানববন্ধন থেকে পাঁচ দফা দাবি জানান ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা। দাবিগুলো হলো- ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে কেউ মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করলে তাকেও সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে; বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মব তৈরি করে দায়িত্বরত নিরস্ত্র পুলিশের ওপর হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে; অবিলম্বে লাকী আক্তার ও তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী দোসরদের গ্রেপ্তার করে শাহবাগের ২০১৩ সালের রাষ্ট্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র উন্মোচন করতে হবে; জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করে শাপলা ও পিলখানা গণহত্যার স্বাধীন বিচারিক তদন্ত কমিশন গঠন করে এই গণহত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে; এবং অবিলম্বে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিক্ষোভে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতেখার সায়েম বলেন, আমরা দেখেছি- হাসিনার শাসনে ফ্যাসিস্টবিরোধী কোনো শক্তি যাতে তৈরি না হয় শাহবাগিরা তার সকল চেষ্টাই করেছে, আমরা দেখেছি- হাসিনা রেজিমে এই শাহবাগিরা দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করেছে! আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলে দিতে চাই- এটা ২০১৩ সাল না, এটা ২০২৫ সাল। এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে হাসিনা রেজিমের পতন ঘটিয়েছে। শাহবাগিরা যদি মনে করে, আগের রেজিমের মতো তারা নীল-নকশা বাস্তবায়ন করবে, তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হবে না।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মঈনুদ্দিন ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে যে নাট্যমঞ্চের মাধ্যমে, সেই নাট্যমঞ্চের নাম গণজাগরণ মঞ্চ। এটি ছিল গণতন্ত্রবিরোধী মঞ্চ। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই- জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের মতো আর কোনো নাট্যমঞ্চ হতে দেওয়া হবে না।