বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৫ ১৫:৫১ পিএম
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকী আক্তারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় লাকী আক্তারকে জবিতে আজীবনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তারা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ২টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রায় সাহেব বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জড়ো হন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘১৩-এর খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘শাহবাগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ল তে লাকি, তুই হাসিনা, তুই হাসিনা’, ‘শহিদেরা দিচ্ছে ডাক, শাহবাগ নিপাত যাক’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, শাহবাগ নো মোর’, ‘শাহবাগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’- এসব স্লোগান দেন।
এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নূর নবী বলেন, শাহবাগ একটি ঘৃণিত নাম হয়ে থাকবে। নতুন করে কেউ আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারবে না। আজকে একটা ইস্যু তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে লাকি আক্তারদের মাঠে নামানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, পুলিশ প্রশাসনের ওপর তারা প্রথমে হামলা করেছে। এই জগন্নাথের মাটি থেকে লাকি আক্তারকে চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে।
জবি ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই স্বাধীনতাকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য এক ঝাঁক ভারতীয় হায়েনা মাঠে নেমেছে। ২০১৩ সালের যেসব কুত্তা শাহবাগে ঘেউ ঘেউ করেছিল, তাদের আবারও পদচারণা দেখা যায়। তারা কোন সাহসে আমার দেশের পুলিশের ওপর হামলার সাহস পায়। লাকিসহ যেসব শাহবাগিরা ২০১৩ সালে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, তাদের কেনো এখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চান, তাহলে আবার জুলাই বিপ্লব হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আপনারা পাড়া মহল্লা, গ্রাম- যেখানে শাহবাগি নামক প্রাণীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক বলেন, আমরা দেখেছি, ২০১৩ সালে লাকি আক্তার, ইমরান এইচ সরকাররা দেশের জনগণকে জিম্মি করে এক নারকীয় অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। যদি আবারও তারা বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মতো নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, আমরা আবু সাঈদ, মুগ্ধদের মতো রুখে দেবো।