খুলনা অফিস
প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৬ এএম
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২১ পিএম
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে যাওয়ার সময়। প্রবা ফটো
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বহু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। তবে হলে অবস্থানরত ১৯ ও ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বলছেন তারা হল ত্যাগ করবেন না।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগ করতে বলা হয়। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের পর কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।
হল ছাড়া শিক্ষার্থীরা জানান, সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তারা হল ছেড়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ইতোমধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। বাকিরাও নির্ধারিত সময়ের আগেই চলে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, যেহেতু ভিসিকে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তাই তারা তার কোনো সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। তারা হল ত্যাগ করবেন না।
এদিকে কুয়েট ভিসি তার বাসভবনেই অবস্থান করছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ।
কুয়েট রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ভুঞা বলেন, ‘সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে অনেক ছাত্র ১১টা পর্যন্ত ত্যাগ করেনি।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের পর কুয়েটের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য (ভিসি) ও উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি)-এর অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপাচার্যের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং হলে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থেই এ সিদ্ধান্ত। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।