খুলনা অফিস
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২৯ এএম
শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল। প্রবা ফটো
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৮০ শিক্ষার্থী।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে সকাল ৮টায় কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে করে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকার পথে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল, যা তাদের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকায় রওয়া দেওয়ার আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফিরবেন না। তারা অনলাইনে ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কুয়েট প্রশাসন তাদের ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তা সত্য নয়। তাদের দাবি, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়, যার ফলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপর স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, তবে প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ভিসি ও প্রো-ভিসির অপসারণ, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, প্রশাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করা ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।
কুয়েট ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের ৪ গ্রেপ্তার
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় খুলনার বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, বিএনপি নেতা আবদুল করিম মোল্লা, যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হাওলাদার এবং বিএনপি সমর্থক শফিকুল। শনিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খানজাহান আলী থানার এস এস রিকাবুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন ৫ জনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছিল সেনা সদস্যরা। তাদের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। শুক্রবার তাদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিদর্শক মনিরুজ্জামান লিটন বাদি হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন।