খুলনা অফিস
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪০ পিএম
প্রবা ফটো
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্র থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন আবাসিক হল প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ছাত্রকল্যাণ কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্ররাজনীতির কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ছাত্ররাজনীতির দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস একসাথে, চলে না চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, হামলার চার দিন পার হলেও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, ফলে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের উপাচার্য রাজনীতিমুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতির অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা করেছেন। ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে তিনি আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
হামলায় আহতদের ছবি প্রদর্শনী: গত শুক্রবার বিকেলে ‘রক্তাক্ত কুয়েট ১৮.০২.২৫’ শিরোনামে ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। এখানে আহতদের ছবি এবং ছয় দফা দাবির আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে বর্জনের ঘোষণা দেন এবং নতুন নেতৃত্ব নিয়োগের দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: সংঘর্ষের ঘটনার পর কুয়েট প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং শিক্ষক-কর্মকর্তারাও কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুয়েট প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।