নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০৯ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৮ পিএম
নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বিষধর পদ্ম গোখরা। প্রবা ফটো
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দেখা মিলেছে প্রায় তিন ফুট দৈর্ঘ্যের বিষধর সাপ পদ্ম গোখরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসার ব্যারাকের সামনে সাপটি দেখা যায়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে সাপ আতঙ্কে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাফেটেরিয়ার পাশেই আনসার সদস্য মনির রঞ্জন দে প্রথমে সাপটিকে দেখতে পায়। নিরাপত্তার কথা ভেবে আনসাররা পরবর্তীতে সাপটিকে মেরে ফেলেছেন। ক্যাফেটেরিয়ার পাশের জঙ্গল পরিষ্কার করা প্রয়োজন। চলাফেরা করার সময় সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’
মো. নোমান চৌধুরী নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যে সাপটির দেখা মিলেছে তা পদ্ম গোখরা। জানামতে নোয়াখালী সদর হাসপাতালেও এর এন্টিভেনম নেই। তাই কাউকে সাপ দংশন করলে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যেতে হয়।’
আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মোহন মিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা এখনও ঝোপঝাড়মুক্ত হয়নি। এসব ঝোপঝাড় প্রকৃতির আপন গতিতে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সাপের উপদ্রবও বেড়েছে। এজন্য প্রতিদিনই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের উচিত খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এএফএম আরিফুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে অনেকদিন সাপের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে পদ্ম গোখরা দেখার পর শিক্ষার্থীদের ভেতর আতঙ্ক কাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে আলাপ করে ক্যাফেটেরিয়া ও আনসার ব্যারাকের আশপাশের পরিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
নোবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ‘আমাদের মেডিকেলে অ্যান্টিভেনম নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানাব। তারা যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সবার জন্য ভালো হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আতিকুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘সাপের আবাসস্থলে সাপ বসবাস করবে- এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু আমরা যদি আমাদের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন না রাখি তাহলে সাপ এসব স্থানে এসে বসবাস করবে। তবে বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড়গুলো প্রায় পরিষ্কার করেছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য যেগুলো বাকি আছে- সেগুলো দ্রুত পরিষ্কার করবে। এছাড়াও রাসায়নিক কেমিক্যাল ব্যবহার করে সাপ তাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘পদ্ম গোখরা সাপের দেখা পাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে- এজন্য ক্যাম্পাসে থাকা অবশিষ্ট ঝোপঝাড় দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।