খুলনা অফিস
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৯ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের ঝোলানো তালা খুলে কুয়েটের প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বন্ধ রয়েছে একাডেমিক কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তালা খোলেন।
এর আগে গত বুধবার প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান থাকার কথা ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের তালাবদ্ধ অবস্থানের কারণে বুধবার বিকাল থেকে প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।
এদিকে, কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড প্রদর্শনের কর্মসূচি পালন করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কুয়েটের সিকিউরিটি ইনচার্জ মনিরুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
সংঘর্ষের সময় এক কিশোর শিক্ষার্থীদের পিটুনির শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে রাখা হয়েছে। সেখানে আরও ১২ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কিশোরদের দীর্ঘসময় প্রিজন সেলে রাখা উদ্বেগজনক এবং আইন লঙ্ঘনের শামিল।
কিশোরের পরিবার জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে সে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, কিন্তু পালাতে গিয়ে একটি ক্লিনিকে আশ্রয় নেয়। পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঢুকে তাকে মারধর করে। পুলিশের দাবি, তাদের আটক করা হয়নি, বরং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘হেফাজতে’ রাখা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে যাদের দেখা গেছে তাদের মধ্যে একজন দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান মোল্লা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর কেন্দ্রীয় যুবদল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, সংঘর্ষে আরও কয়েকজন অস্ত্রধারী ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী কামাল হোসেন ও শ্রমিক দলের কর্মী হেলাল রয়েছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।