× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শিক্ষায় ২৫% পদই ফাঁকা

সেলিম আহমেদ

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৪৭ পিএম

আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০৬ পিএম

শিক্ষায় ২৫% পদই ফাঁকা

শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় এক-চতুর্থাংশ পদই শূন্য। প্রতিমাসেই এ সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হিসাব বলছে, বর্তমানে বিভিন্ন দপ্তরের ৪৪ হাজার ৬৪৫টি পদের মধ্যে ১১ হাজার ৭৩৯টি শূন্য। সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি)। বিশাল জনবল সংকটের কারণে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে কর্মরতদের যেমন অতিরিক্ত কাজ করে হাঁপিয়ে উঠতে হচ্ছে, তেমনি সেবা কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ায় সেবাগ্রহীতাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, সংকট কাটাতে ‘যোগ্য’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়ে আপাতত শূন্যপদের সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ‘জরুরি ভিত্তিতে’ সব শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব। 

এ প্রসঙ্গে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, এই সংকট পুরো শিক্ষায়। শিক্ষায় যেভাবে কাজ বাড়ছে, জনবল সেভাবে বাড়ছে না। নতুন কোনো পদ সৃষ্টি হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্কুল-কলেজ হচ্ছে কিন্তু শিক্ষক নেই। ৪ বছর আগে ১২ হাজার শিক্ষকের পদ সৃজনের সুপারিশ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি। কেন্দ্রের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনেরও জনবল অপ্রতুল। এতে কার্যক্রমে ব্যাঘাত হচ্ছে।

শাহেদুল খবির বলেন, নতুন নিয়োগ সময়সাপেক্ষ ও দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়। পদ সৃজন হলে এই সংকট কমে যেত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ৪৪ হাজার ৬৪৫টি পদের মধ্যে ১১ হাজার ৭৩৯টি শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ৪৭৭টি পদের শূন্য ১৭১টি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) ৬১টি পদের মধ্যে ৪৬টি শূন্য রয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিকের ১২ হাজার ৬০১টির মধ্যে ১ হাজার ৩৪৪টি শূন্য, আর সরকারি কলেজে ১৫ হাজার ২৫১টির মধ্যে ২ হাজার ২৮৯টি শূন্য আছে। তবে ৪১, ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার থেকে এসব পদ পূরণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এ ছাড়াও শিক্ষা প্রশাসনে ১২ হাজার ৬৭৩টি পদের মধ্যে ৬ হাজার ২০৭টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩ হাজার ১৭৪টি পদের মধ্যে ২ হাজার ২৭৪টি, ব্যানবেইসে ৮০৭টির মধ্যে ১৮৫টি, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ৩২টির মধ্যে ১২টি, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ৩২ পদের ২৯টি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ৯৮টি পদের মধ্যে ৩৮টি, এনটিআরসিএতে ৬৯টি পদের মধ্যে ৬টি, জাতীয় শিক্ষা একাডেমিতে (নায়েমে) ১৮২টি পদের মধ্যে ৩৯টি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ৩১১টি পদের মধ্যে ৪৯টি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে ১৩০টি পদের মধ্যে ৪৩টি, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ৫৩টি, কুমিল্লা বোর্ডে ২১৯টি পদের মধ্যে ৬৭টি, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১৬১টি পদের মধ্যে ৫৮টি, যশোর বোর্ডে ২৫৩টির মধ্যে ১২৫টি, বরিশাল বোর্ডে ১৩৮টির মধ্যে ৫৪টি, সিলেট বোর্ডে ১২৭টির মধ্যে ৫৮টি, দিনাজপুর বোর্ডে ১৪০টির মধ্যে ৪৩টি, রাজশাহী বোর্ডে ২২৯টির মধ্যে ৮৯টি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে ৪৫টির মধ্যে ২৫টি পদ শূন্য।

শিক্ষার বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম জোরালো করতে সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক। সম্প্রতি ওই সভার কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, যেসব দপ্তর-সংস্থায় শূন্যপদ রয়েছে এবং পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ রয়েছে, তাদের পদোন্নতি প্রদানপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে শূন্যপদ পূরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না এবং কোনো পদ শূন্য রাখা যাবে না। পদোন্নতি প্রদানের বিষয়ে সকল দপ্তর প্রধানদের আরও তৎপর হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল দপ্তরের নিয়োগ ও পদোন্নতির হালনাগাদ তথ্য প্রেরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সভায়। এ ছাড়াও যে সকল বোর্ডে অর্গানোগ্রামে পরিদর্শকের জন্য গাড়ি সংরক্ষণ নেই এবং যেসব পদে পদনাম এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্যার কারণে পদোন্নতি/নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের অর্গানোগ্রাম সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা