বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩২ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৭ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) চালু হয়েছে অনলাইন ‘সার্টিফিকেট অ্যাটেস্টেশন’ বা সনদপত্র সত্যায়নকরণ সেবা। অনলাইনে আবেদন করেই এ সেবা নিতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করে ২৭ জন শিক্ষার্থী এ সেবা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন অ্যাটেস্টেশন সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করে তাদের সনদপত্রগুলো সত্যায়ন করে নিতে পারেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে আবেদন করতেন, তাদের সনদপত্র সত্যায়িত করতে নানান অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো। এখন অনলাইন সেবার মাধ্যমেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়ন সনদপত্র দেওয়া হয়, যা দিয়ে একজন শিক্ষার্থী সহজে বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে।
সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের মতো গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সেবা চালু হয়। যা শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়ে এসেছে স্বস্তি। এ সেবা পেতে একজন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র সত্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফি দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। পরবর্তীতে সেই আবেদনপত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে যাবতীয় কার্যাবলি সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীরা এর সুবিধা নিতে পারেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে সনদ যাচাইয়ের জন্য গেলে সত্যায়িত সনদের প্রয়োজন হয়। অনলাইনে সনদ সত্যায়িত করা থাকলে তা সহজেই যাচাই করা যায়। এতে শিক্ষার্থীদের আর ভোগান্তি পোহাতে হয় না। এ সেবা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এসব ভোগান্তি থেকে রেহায় পাবেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আফরুজা বেগম বলেন, ‘আমরা গত বছরের শেষ হতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে সনদপত্র সত্যায়ন করার সেবা দিতে শুরু করেছি। এজন্য আমিসহ মোট তিন জন কাজ করছি। এখন পর্যন্ত ৩৭ জন শিক্ষার্থী আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থীকে আমরা মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত সত্যায়িত সনদপত্র প্রদান করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য যত পদক্ষেপ আসবে, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের স্বস্তি।’