বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৬ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৮ পিএম
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর দৃশ্য থেকে ছবি নেওয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কোরবান আলীকে এক শিক্ষার্থী থাপ্পড় দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী চবির আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী আফসানা এনায়েত ইমি।
ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, আফসানা এনায়েত ইমি অধ্যাপক কোরবান আলীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তিনি সহকারী প্রক্টরকে থাপ্পড় মারেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলোর সামনে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ‘নৌকা প্রতীক’ ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে গেলে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের বাধার সম্মুখীন হন বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় হলের নারী শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। পরে শেখ হাসিনা হলের নারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীর গালে থাপ্পড় মারেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. মো. কোরবান আলী বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নৌকা প্রতীক ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে যায়। সেখানে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হই। একপর্যায়ে মেয়েরা হলের গেইটের তালা ভেঙে বাইরে আসে এবং সেখানে বাধা দেয় এবং শিক্ষার্থীদের গায়ে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসলে আমরা তাদের বুঝিয়ে হলে পাঠানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কয়েকজন মেয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করে এমনকি আমার গায়ে হাত তোলে। আমি প্রশাসনের কাছে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে আফসানা এনায়েত এমিকে একাধিকবার ফোন করালেও তিনি সাড়া দেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রদল রাতে বিক্ষোভ করেছে। চবি শাখা ছাত্রশিবিরও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।