বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৭ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে গিয়ে হলের ছাত্রীদের বাধার মুখে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙতে গিয়ে হলে অবস্থানরত ছাত্রীদের বাধার মুখে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে শেখ হাসিনা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, ঢাকা মেইলের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি রেদ্ওয়ান আহমেদকে
মারধর করা হয় এবং সমকালের প্রতিনিধি এসএম মাহফুজের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
সাংবাদিক রেদ্ওয়ান বলেন, ‘আমরা সংবাদ সংগ্রহের কাজ করছিলাম। ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিলাম। ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত আমাদের ৫জন সাংবাদিককে তারা ঘিরে ফেলেন। আমরা কেনো ছবি-ভিডিও ধারণ করছি, সেজন্য হেনস্তা করেন। এরমধ্যে একজন ‘এখানে কোন ভিডিও হবে না’ বলেই সহকর্মী মাহফুজের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যান। শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা আমাদের সাথে যে আচরণ করেছেন, এমন আচরণ ছাত্রলীগও কখনো করতে পারেনি।’
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজহার বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর নতুন করে কেবল ছেলেদের হলগুলোতে অ্যালটমেন্ট (বরাদ্দ) দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের হলে সীমিত সংখ্যক নতুন শিক্ষার্থী উঠতে পেরেছেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে, হলে এখনো পুরোনো বলয়ের দখল রয়েছে। আমরা ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর নাজমুল হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। সাংবাদিকদের মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়ার ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির
অংশ হিসেবে সারাদেশে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল এবং নামফলক ভাঙার ঘটনা ঘটছে।
চবিতেও শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও নৌকার স্থাপনা ভাঙতে গেলে হলের ছাত্রীরা
বাধা দেন, এরই জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।