বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০৫ পিএম
প্রীতম রায়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের পাশ থেকে এক ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই হলের পাশ থেকে তার উদ্ধার করেন হলের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন।
ওই ইন্টারনেট কর্মচারীর নাম প্রীতম রায় (২৩)। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। তিনি মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মচারী ছিলেন। প্রীতম সাভারের ভাটপাড়া এলাকায় মাস্টারনেটের বাসায় থাকতেন।
হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, রাত ১০টার দিকে প্রীতমসহ চারজন কর্মচারী হলে ইন্টারনেট মেরামতের কাজে আসেন। প্রীতম হলের এ-ব্লকের চারতলা ভবনের ছাদে কাজ করছিলেন। বাকিরা হলের অন্যদিকে ছিলেন। পরে সহকর্মীরা প্রীতমের খোঁজ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে একপর্যায়ে তাকে হলের পেছনের অংশে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। তারা ধারণা করছেন, প্রীতম ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।
সহকর্মীদের একজন মো. লিংকন বলেন, কাজ করার সময় ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপরে আবার ওকে কয়েকবার কল দিলেও আর ধরেননি। পরে ছাদের যে অংশে কাজ করছিল সে অংশে গিয়ে কল দিলে ভবনের নিচে প্রীতমের ফোনের রিংটন বাজতে থাকে। তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে দেখি সে মাটিতে পরে আছেন।
এ বিষয়ে মাস্টারনেটের মালিক মো. রুবেল বলেন, দিনের বেলায় সব শিক্ষার্থী কক্ষে থাকেন না। সেজন্য রাতে তার কর্মচারীরা ইন্টারনেট মেরামতের কাজ করছিলেন। ছাদে প্রীতম ইন্টারনেটের লেজারের কাজ করছিলেন। রাত ১১টার দিকে হলে বাকি যারা কাজ করছিলেন তাদের একজনকে প্রীতম ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি দুটি লেজার মেরামতের কাজ করেছেন। এখনো দুটি লেজারের কাজ বাকি আছে। এরপরে তার আর সাড়া শব্দ না পাওয়ায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দুবার গিয়ে ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে যেটা ধারণা করছি সেটা হলো, হলের ছাদের চিলেকোঠার অংশের কার্নিশ ধরে ওপরে উঠতে গিয়ে হয়তো সে পড়ে গেছে। কারণ আমরা ওই জায়গার কার্নিশের ইট ভাঙা পেয়েছি।’