বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৬ পিএম
শিক্ষার্থীরা মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করছেন। প্রবা ফটো
সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে সেজেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এবার ক্যাম্পাসজুড়ে ৩৭টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে এ পূজা। ইতোমধ্যে প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ, এখন চলছে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিক্ষার্থীরা মণ্ডপ সাজাতে ব্যস্ত, কেউ বাঁশ, ককশিট বা রঙিন কাগজ দিয়ে, কেউ তুলির আঁচড়ে প্রতিমা ও মণ্ডপ সাজাচ্ছেন মনোরমভাবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দেবী সরস্বতীর পূজা শুরু হবে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মণ্ডপ সাজানোর কাজে ব্যস্ত। ৩৩টি বিভাগ, ২টি ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদ এবং ছাত্রী হল থেকে পৃথক পৃথকভাবে ৩৭টি মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করছেন। কেউ বা মেতে উঠেছেন আলপনার কাজে। কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন মণ্ডপের কাজে। এ কাজে অন্য ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী লাবণ্য কুমার রায় বাপ্পী বলেন, ‘সরস্বতী পূজা মানেই আমাদের জন্য একটা বিশেষ আনন্দের দিন। দেবীর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের জ্ঞান ও সৃজনশীলতার পথ উন্মুক্ত হয়। বিভাগের সবার সঙ্গে মণ্ডপ সাজানো থেকে শুরু করে অঞ্জলি দেওয়া- সবকিছুই স্মরণীয় হয়ে থাকে।’
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ন্তী রায় বলেন, ‘এটা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একসঙ্গে সবাই মিলে পূজা উদযাপন করার আনন্দই আলাদা। প্রতিমা সাজানো, আলোকসজ্জা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।’
ইংরেজি বিভাগের মহাশ্বেতা রায় মিতু বলেন, ‘আমি প্রতি বছর মা সরস্বতীর পায়ে খাতা-কলম রেখে আর্শীবাদ নেই। মা যেন আমাদের পড়াশোনায় ভালো ফল করতে সাহায্য করেন, সেই প্রার্থনা করি। পূজার সাজসজ্জা, মেলা আর প্রসাদ খাওয়া- সবকিছুই অনেক মজা লাগে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘আজ রাতের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘পূজাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা টিম ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। ক্যাম্পাসজুড়ে স্থাপন করা সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করা হবে। রাত ৮টার মধ্যে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’