প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৯ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৫ পিএম
শিক্ষার্থীদের অবরোধে গুলশান-মহাখালী এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধে গুলশান-মহাখালী এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বাঁশ ফেলে কলেজের সামনের রাস্তা আটকে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
আমরণ অনশনের ৫ম দিনে প্রশাসন থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় অনশন চলমান রেখেছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এদিকে অনশনে এখন পর্যন্ত চারজন অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সড়ক অবরোধে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও ইজতেমার মুসল্লি ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তিতুমীরকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিনিত ও ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরণ অনশন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে শনিবার সরকারি তিতুমীর কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিবৃতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাত সোয়া ৮টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মুক্তার।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে আমরা আর সাত দফা চাই না। এখন থেকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির একদফা দাবিতে অনশন ও বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকার সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কাজ চলছে এবং তিতুমীর কলেজের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করে এতে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় বা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়, এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকার অবহিত রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই কমিটি তিতুমীর কলেজসহ সাতটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এই কলেজগুলোর শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও মানোন্নয়নই বর্তমানে সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে করণীয় সব বিকল্পই সরকারের বিবেচনায় থাকবে। এ অবস্থায় তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই।