প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৬ পিএম
স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সাত দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
তবে রাস্তা কিছুক্ষণের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের নেতা নায়েক নূর মোহাম্মদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ভোর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। তাতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় দিনভর ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। শুক্রবার ভোরে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিলেও তাদের কয়েকজন আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান।
জুমার নামাজের পর তাদের সতীর্থরা একটি মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলী ঘুরে এসে সড়ক অবরোধ করেন। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এদিন আশপাশের সড়কে তেমন প্রভাব পড়েনি।
এ বিষয়ে গুলশান ট্রাফিক বিভাগ বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ‘গতকালের ন্যায় আজকে কিছুক্ষণপূর্ব থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তিতুমীর কলেজের সামনের সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। ফলে মহাখালী-আমতলী হয়ে গুলশান-১ এর দিকে এবং গুলশান-১ থেকে আমতলীমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
এ পরিস্থিতিতে বিকল্প পথে চলাচলের অনুরোধ জানিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ‘বনানী-কাকলী থেকে জাহাঙ্গীর গেইটগামী চালক ও যাত্রীদের ফ্লাইওভার ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এছাড়া মহাখালী থেকে আমতলী রাইট টার্ন করে যারা গুলশান-১ এর দিকে যাবেন তাদেরকে আমতলী হয়ে কাকলী-বনানীর দিকে সোজা গিয়ে কাকলী ক্রসিং অথবা আরও সামনে গিয়ে ইউটার্ন নিয়ে বনানী-গুলশান ২ এর সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
‘বনানী-কাকলী থেকে আমতলীর দিকে যারা যাবেন, তারা সোজা মহাখালী টার্মিনাল এর দিক দিয়ে যেতে পারবেন।’
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘তিতুমীর ঐক্য’র সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করা।
এছাড়া ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম আইন এবং সাংবাদিকতা বিষয় সংযোজন, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবিও রয়েছে অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের।