রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৭ এএম
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৬ পিএম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজ। ছবি : সংগৃহীত
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার দুর্নীতির শিকার হয়ে পেশাগত জীবনে বিপাকে পড়েছেন কলেজের প্রভাষক রেহেনা সুলতানা।
অভিযোগ রয়েছে, গোলাম মোস্তফার সুবিধার সুযোগে ১৮ মাস একসঙ্গে দুটি সরকারি চাকরি করেছেন তিনি।
জানা গেছে, রেহেনা সুলতানা ২০১৪ সালে বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৭ সালে তিনি কালুখালীর মাজবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তৎকালীন অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার অনুমতি ও সহযোগিতায় রেহেনা একসঙ্গে কলেজ ও বিদ্যালয়ের চাকরি চালিয়ে যান।
তথ্য অনুযায়ী, কলেজ সরকারিকরণের সময় অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা তাকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে কলেজে স্থায়ী হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু দুর্নীতির কারণে তার ১৮ মাসের এই দুই চাকরির তথ্য সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
কলেজের এক প্রভাষক জানান, আইবাস সিস্টেমে তার সরকারি বেতনের রেকর্ড থাকার কারণে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
অন্যদিকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে রেহেনা সুলতানা বলেন, তৎকালীন অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়েই আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি করেছি। কিন্তু কলেজ সরকারিকরণের আগেই সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। এই পরিস্থিতির জন্য পুরোটাই তৎকালীন অধ্যক্ষ দায়ী।
প্রভাষক রেহেনার দাবি, তার কর্মজীবন নিয়ে এমন অনিশ্চয়তা পুরোপুরি সাবেক অধ্যক্ষের দুর্নীতির ফল। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত হওয়া জরুরি, যাতে সঠিকভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়।
অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আতিয়ার রহমান জানান, এটি একটি জটিল সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কলেজে যোগাযোগ করতে হবে। তবে একটু সমস্যা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দুই চাকরি নিয়ে এমন জটিলতায় একজন নারীর পেশাগত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সমাজের শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির আরেকটি উদাহরণ। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে এর সুরাহা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।