বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৪ পিএম
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৫ পিএম
প্রবা ফটো
পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের আশ্বাসের ১৪ ঘণ্টা পর অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে তারা এ কর্মসূচি স্থগিত করেন।
একই দিন দুপুর ১২টায় পোষ্য কোটা বাতিল ও জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে যান শিক্ষার্থীরা। শুরুতে ৫ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসলেও বিকাল ৩টার পর আরও ৩ জন শিক্ষার্থী যুক্ত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার অনশনকারী শিক্ষার্থীদের দেখতে যান। তিনি শিক্ষার্থীদের খাবার খাইয়ে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যেতে অনড় ছিলেন। এর আগে কয়েক দফায় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, চবি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙতে অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা রাজি হননি।
এরপর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস দেয়। আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী রবিবার পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। রবিবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের সিদ্ধান্তে না আসলে পুনরায় কঠোর অবস্থানে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
অনশনকারী রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হিমেল খান বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বেশ কয়েকবার অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আমরা আমাদের দাবিতে অনড় ছিলাম। রাতে উপ-উপাচার্য পোষ্য কোটা বাতিল প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেন এবং আগামী রবিবার পর্যন্ত আলোচনার সময় চায়লেন। তাই আমরা আপাতত অনশন স্থগিত করেছি। তবে রবিবারের মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল না হলে আবারও আমরণ অনশন শুরু করব।'
উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘যারা আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী কেউ যদি পড়াশোনা শেষ করেও চলে যান, তবুও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যেমন সার্টিফিকেট দিতে পারে তেমনি আবার সার্টিফিকেট বাতিলও করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও কোনো প্রকার কোটার পক্ষে না। আমরাও চাই যাতে কোনো প্রকার কোটা না থাকে।