বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৩ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩১ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্সের (জেসিএফ) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার ১৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির পাঁচজনই নিষিদ্ধ সংগঠন পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জেসিএফের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান মুহাম্মদ আলফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল তালুকদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বকুলকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ওলিউল্লাহকে।
কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ক্রীড়া সম্পাদক ও সামাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আশিক কবির। ২ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুর ইসলাম বাবুর অনুসারী ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাতুল, ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ হোসেন অনুসারী ও টিএইচএম শিক্ষার্থী রুহুল আমিন। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রেইনের অনুসারী ও ইতিহাসের শিক্ষার্থী সাইফ সরকার এবং পাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী ও টিএইচএমের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন।
কমিটিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পদ পাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ৫ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকেই ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি শুরু করেছে। নিজেদের গ্রুপে লোক বাড়াতে এখন অনেকেই নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দলে ভেড়াচ্ছে, বিভিন্ন সংগঠনে পদ দিয়ে তাদের খুশি রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্বার্থান্বেষী নেতার কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হতে শুরু করেছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেওয়ান মুহাম্মদ আলফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল তালুকদারকে মেসেজ দিলে তারা কোনো উত্তর দেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘যতটুকু খোঁজখবর নিয়েছি তাতে ওরা যে ছাত্রলীগ করত সেই রকম কোনো তথ্য পাইনি। আর আশিকের বিষয় হলো, ও আমার এলাকারই, ওর পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ক্যাম্পাসে হলে থাকার জন্য ও হয়তো এত দিন কৌশল অবলম্বন করেছে।’