বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২৭ পিএম
প্রবা ফটো
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা ও পোষ্য বাতিল, ভর্তি আবেদন ফি কমানো ও চাকসু নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মো. হায়দার আরিফ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাবনা নিয়ে আসলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। আগামীকাল (সোমবার) প্রশাসনের সাথে আন্দোলনকারী ২০জন প্রতিনিধির সাথে প্রশাসনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত রবিবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আন্দোলনকারীদের সাথে প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে পোষ্য কোটা বাতিল'সহ শিক্ষার্থীদের ৯ দফা এবং অন্যান্য দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির ২য় সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খানকে। এছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন - উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এসএম নছরুল কদির, প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাসমত আলী, অধ্যাপক ড. এন এম সাজ্জাদুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং সদস্য সচিব প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবিগুলো হলো— ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে, বন্ধ হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে, ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সহশিক্ষা কার্যক্রমের সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে, অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইন ভিত্তিক করতে হবে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমাদের দাবিগুলো উত্থাপন করে আসছিলাম। কিন্তু আপনারা নানান ধরনের তালবাহানা করে আমাদের আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা করছেন। শহীদ তরুয়া ও শহীদ ফরহাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মসনদে বসেছে। আমরা সেই জেনারেশন যারা শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টকে গুঁড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছি। আমরা কি করতে পারি না পারি সে সম্পর্কে আশা করি আপনারা ধারণা রাখেন। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত এই ক্যাম্পাসে কোন ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা থাকতে পারবে না।,
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান বলেন, ‘আমরা আপনাদের প্রতীকী জানাজা পড়েছিলাম। আপনারা সেটাকে নিয়ে অনেক ট্রল করেছেন। আমরা বলে দিতে চাই, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে জিরো পয়েন্ট থেকে আমরা আপনাদের খাটিয়া মিছিল বের করবো।