বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪০ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
থার্টিফার্স্ট নাইটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রাতভর অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় এবং তাদের অনেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় ছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি নোটিসের মাধ্যমে সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩১ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব হলে রাত ১০টার মধ্যেই ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তৎক্ষণাৎ সেখানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে প্রক্টরিয়াল টিম।
অভিযানে আটক শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ইনস্টিটিউটের ৫১ ব্যাচের মো. শিপন হোসেন ও সতীর্থ বিশ্বাস বাঁধন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের প্রিয়ন্তী নাগ এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের (ফল-২০২৩) আফরিন আক্তার আশা। এদের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় আটক করে।
অন্য গ্রুপের শিক্ষার্থীরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের হ্রই মুইং স্যাং মারমা এবং কৃষন চন্দ্র বর্মন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থী খেংচেংফ্রু মারমা, পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের থোয়াইনুপ্রু এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের মাসুই মারমা। এদের কাছেও মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা গেছে, থার্টিফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখা টহল জোরদার করে। এদিন রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের সময় শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। আটকরা প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা সবার পরিচয় সরবরাহ করেছি। সবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছি এবং সকল প্রকারের প্রমাণ জোগাড় করেছি। আমরা এসব বিষয়ে আরও পর্যালোচনা করে এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’