বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০০ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২১ পিএম
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের দায়ে ২০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি এবং জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের তানভীরুল ইসলাম সিয়াম ও প্রিতম কারণকে ৩ সেমিস্টার, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জুনায়েদ হোসাইন ও কৃষি অনুষদের ইউনুস খান ইফতিকে ২ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌরভ সরকার শাওন, জিহাদ হাসান জিম, গোলাম রাব্বি, মো. ওমর ফারুক, খালেদ মাহমুদ রূপক, খালিদ হাসান, ইসতিয়াক আহমেদ রিয়াদ, মো. জুনায়েদ আল হাবিব জিন্নাহ ও সাহিব আহমেদকে ১ বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এএম জোবায়ের, মো. সোহেল ও সনাতন চন্দ্র রায়কে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও নগদ ৩ হাজার টাকা জরিমানা এবং ক্যাচিং মং মারমা, মিনহাজুল ইসলাম, মো. নূর মোহাম্মদ সরকারকে ৩ হাজার ও সুপেল চাকমাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এম কেরামত আলী হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে প্রমাণিত অসদাচরণ ও অপরাধের দায়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা বোর্ডের ৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অফিস আদেশে আরও জানানো হয়, সেমিস্টার বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে এবং হল থেকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন না। এ ছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে দণ্ডিত অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধার্যকৃত অর্থ জমাদানে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে যেকোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম কেরামত আলী হলে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। র্যাগিংয়ে কয়েক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তা জানাজানি হয় এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচারকার্য শুরু করে।