জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০১ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৯ পিএম
সংবাদ সম্মেলন করেন জবিতে ৫ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান ও সংগঠক একেএম রাকিব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেওয়া হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া স্লোগান নাহিদের বিরুদ্ধে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান ও সংগঠক একেএম রাকিব।
লিখিত বক্তব্যে সোহান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আন্দোলন শুরু হওয়ার পর মিছিলের জন্য বিভিন্ন স্লোগান তৈরি হয়, তার অংশ হিসেবে ২ নভেম্বর একটা স্লোগান যোগ করা হয়। ‘আর্মি হবে ঠিকাদার, সব শালারাই বাটপার’। স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে, কারণ গত ৬ বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি, প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বাড়িয়েও কাজ শেষ করতে পারেনি, বরং তারা নিজেদের পকেট ভারীসহ রীতিমতো পুকুরচুরির ঘটনা ঘটিয়েছে, যাতে কোনোভাবেই উপদেষ্টা নাহিদ কিংবা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুঃখের বিষয় হলো সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে, সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনারা ঐক্যের ফাটল ধরাতে পারবেন না, আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে এক ও অদ্বিতীয়।’
ছড়িয়ে পড়া ওই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ।
আন্দোলনকারী অন্য শিক্ষার্থীরাও জানান, এই স্লোগান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই দিয়ে আসছিল। মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ করে এই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের স্লোগান আর ওই সময়ের ভিডিও দুটা একত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে দেখা করে আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। পরে শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের এবং শিক্ষকদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা উপ-উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। আশ্বাস পেয়ে চার ঘণ্টা পর সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।