বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৪ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থধারার রাজনীতি নিশ্চিত করাসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিকে মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের দপ্তরে গিয়ে তিন দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। অন্য দাবিগুলো হলোÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ গত ১৪, ১৫ ও ১৭ জুলাই হামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত সকল শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা ও অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ও জুলাই গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও হলে পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামের সঞ্চালনায় ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) শিক্ষার্থী ফারহানা ফারিনা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের তিন মাস পরও কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত শিক্ষকরা এখনও ক্লাস নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা চলছেÑ এমন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের দোসররা পুনর্বাসিত হবে। যেহেতু কোনো নিয়মকানুন মেনে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি, সেহেতু নিয়মের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসন মেনে নিব না।
মেহরাব সিফাত বলেন, একজন খুনি কখনও শিক্ষক হতে পারে না। আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক বশির আহমেদ ও তার সহযোগীরা বিগত আন্দোলনের মতো এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার পাঁয়তারা করেছে। কিন্তু আমরা এই আন্দোলন সফল করেছি। যাদের হাতে শিক্ষার্থীদের রক্ত তারা কোনো ধরনের প্রশাসনিক পদে থাকা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি। অবিলম্বে তাদের অব্যাহতি দিতে হবে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যাতে পুনর্বাসিত হতে না পারে সে ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, সিন্ডিকেটের সভায় আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য স্যার। যদি আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক বশির আহমেদকে ডিন পদ থেকে অব্যাহতি না দেওয়া হয়, তাহলে সিন্ডিকেট সদস্যদের অবরুদ্ধ করব।