বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯ পিএম
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫০ পিএম
বেতন বৃদ্ধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ে বর্তমানে প্রায় ৯৫ জন অস্থায়ী কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। যাদের বেতন কাঠামোর সর্বনিম্ন বেতন ৪০৮০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বেতন ৮৪৮০ টাকা পর্যন্ত। চাকরি থেকে অবসরের সময় তাদেরকে মাত্র ১,৫০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট আদেশ অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ (ন্যূনতম) নিয়োগ ডাইনিংবয় থেকে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কর্মচারীরা জানান, আমরা হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিংয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। কিন্তু বিগত ৫২ বছর যাবৎ আমরা বৈষম্য ও অবহেলার শিকার হচ্ছি। কারণ আমরা অস্থায়ী কর্মচারীর পাশাপাশি আমাদের বেতন-ভাতাও অপর্যাপ্ত। ৩০-৩৫ বছর চাকরি করার পর আমাদের নেই কোনো ভবিষ্যৎ। কর্মচারী নিয়োগে সিন্ডিকেটে ৩৩ শতাংশ (ন্যূনতম) ‘ডাইনিং বয়’ থেকে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন হলগুলোতে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে ডাইনিংয়ের লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যাদের বেতন ১৬ হাজারের অধিক। তাহলে আমাদের সঙ্গে কেন এমন বৈষম্য করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘ডাইনিং কর্মচারী সমিতির’ উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে যখন আমরা সর্বপ্রথম চাকরিতে প্রবেশ করি তখন আমাদের খুবই কম বেতনের কাজ করতে হয়। পরবর্তীতে আমরা আন্দোলন করলে আমাদের বেতন ৪০৮০ থেকে ৮৪৮০ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বর্তমান অবস্থা চিন্তা করলে এ বেতনে আমরা আমাদের সংসার, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে পারি না। আমাদেরকে বেতনের মেলায় জুলুম করা হয়। গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। প্রশাসনের উচিত বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকে স্থায়ী করে সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা। চাকরি শেষে আমাদের পেনশনের আওতায় আনা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাইনিং কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জাফার উদ্দিন, সহসভাপতি মো. তুহিন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল ইসলাম, উপদেষ্টা আবুল খায়ের প্রমুখ।