নওগাঁয় শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়
নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৮ পিএম
নওগাঁবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ নামে বিল পাস হওয়ার মাধ্যমে তা পূরণ হয়। তবে দুই বছর অতিবাহিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কর্মকর্তাদের নিয়োগ ছাড়া আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। শুরু হয়নি একাডেমিক কার্যক্রম। স্থান নির্ধারণের কাজও চলছে নানা জটিলতায়।
নওগাঁবাসী ও শিক্ষাবিদরা এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলে নওগাঁ ও উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার নতুন দ্বার খুলবে, যা জীবনের মান উন্নত করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গছে, ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ৮ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে ড. আবুল কালাম আজাদকে প্রথম ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর নতুন ভিসি ড. মো. হাছানাত আলী যোগদান করেছেন।
শহরের বালুডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা একটি স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। তবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মুনিরুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হলে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য আর বাইরে যেতে বাধ্য হবেন না। আরেক ছাত্র গোলাম রাব্বানী রিপন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নমূলক কাজ এখনও চোখে পড়ে না।
নওগাঁ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর নওগাঁবাসী আশান্বিত ছিল যে, এখান থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যক্রম নেই।
সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মানেই গবেষণার সুযোগ, কিন্তু ক্লাস শুরু না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি দাবি জানান, যত দ্রুত সম্ভব ক্লাস শুরু হওয়া উচিত, যদিও স্থানের সংকট থাকলে কিছু বিষয় ক্লাস শুরু করতে হবে।
নবনিযুক্ত ভিসি ড. মো. হাছানাত আলী জানান, তিনি ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য আবেদন করেছেন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কার্যক্রম চালুর আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি নওগাঁবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নওগাঁবাসীর প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়টি কাগজে-কলমে না থেকে বাস্তবে কার্যক্রম শুরু করবে, যাতে তারা উচ্চশিক্ষার সুফল পেতে পারে।