বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫২ পিএম
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্ক, রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড়ে আসে। পরে তাতিবাজার মোড় অবরোধ করে তারা।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আবাসন, কবে দিবা প্রশাসন?’, ‘প্রয়োজনে রক্ত নাও, তবুও মোদের হল দাও’, ‘প্রশাসনিক মূলা চাষ, আর্মি চাইলে সর্বনাশ’, ‘আর্মির হাতে দাও কাজ, যদি থাকে হায়া-লাজ’-এরকম বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দ্বায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে যে ২য় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া হয়েছে এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট করতে হবে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
আন্দোলনকারী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা সংবাদকে বলেন, ‘তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আমার ক্যাম্পাস ছেড়ে রাজপথে এসেছি। এই রাজপথই আমাদের ঠিকানা, রাজপথের মাধ্যমেই আমরা চাই তিন দফা দাবির সমাধান করতে। প্রশাসন অনেক মূলা ঝুলিয়েছে, আমরা আর এই মূলায় বিশ্বাস করি না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে নিবো।’
আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আমাদের নৈতিক অধিকার। আমাদের হল নাই ক্যাম্পাস নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনছি শুধুমাত্র ক্যাম্পাস হচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।