বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৬ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৯ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বঙ্গবন্ধু পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। ৫ আগস্ট থেকে রবিবার (৩ নভেম্বর)পর্যন্ত দুই পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নিয়েছেন মোট ২০ জন শিক্ষক।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নিয়েছেন ১৩ জন শিক্ষক এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামাল এবং গনিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমান মাহবুবের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নিয়েছে ৭ জন শিক্ষক।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামাল এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমান মাহবুবের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নেওয়া শিক্ষকরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক খালিদ হোসাইন ভূইয়া, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিকুর রহমান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া আফরিন সানি, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়ামুল হূদা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মারুফ হাসান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে গঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে লিভ নেওয়া শিক্ষকরা হলেন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুহিবুল্লাহ, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসাইন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরীফ হোসেন, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আফরিনা হক, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুলসুম আক্তার স্বপ্না, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামাল বলেন, ‘কেউ লিভ নেওয়া না নেওয়া তার উপর নির্ভর করে। এটা এমন না যে দালিলিক কোনও প্রমাণ নাই যে, সে কখন এখান থেকে লিভ নিতে পারবেন। যিনি লিভ নিয়েছেন এর উত্তর তিনিই দিতে পারবেন। আমাদের কাছেও এ প্রশ্নের উত্তর জানা নাই তিনি কেন লিভ নিয়েছেন। উনাদের জিজ্ঞেস করেন তাদের কোনও ব্যক্তিগত কারণ আছে কি-না? লিভ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কাউকে উৎসাহিত বা নিরুৎসাহিত করিনি।’
লিভ নেওয়াকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ থেকে পদত্যাগ হিসেবে দেখছেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ইনফরমাল গ্রুপ। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার জন্যই গ্রুপটা করেছি। অনেকেই এখন ফেসবুক ডিএক্টিভেড করেছেন। অনেকেই বিভিন্ন গ্রুপে থাকতে চাচ্ছেন না। এটার সঙ্গে পরিষদ থেকে উনি পদত্যাগ করেছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে না। পদত্যাগ করলে উনি নিশ্চয়ই ফরমালি জানাবেন। যে গ্রুপ থেকে লিভ নিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত কারণ হতে পারে।’
যারা লিভ নিচ্ছেন তারা অনেকেই প্রশাসনিক পদে যাচ্ছেন। তারা প্রশাসনিক পদের জন্য গ্রুপ থেকে চলে যাচ্ছে কি-না? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ অনেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদে থেকেও প্রশাসনিক পদে আছেন। প্রশাসনিক পদে যাওয়ার জন্য গ্রুপ থেকে চলে যাচ্ছেন। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক মনে হচ্ছে না।’
কেন্দ্রীয় অনুমোদন প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ একটি আদর্শিক সংগঠন। কেউ যদি বঙ্গবন্ধু পরিষদের গ্রুপ থেকে লিভ নেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এর বাহিরে আমার কোনও মন্তব্য নাই।’